ঢাকা,শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ইমরানকে ক্ষমা চাইতে হবে: জয়

joy-imran_1চ্যানেলআই : সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন তাকে অপহরণ ও হত্যায় শফিক রেহমানের জড়িত থাকার প্রমাণ সরকারের হাতে আছে।

এজন্য সাংবাদিক শফিক রেহমানের গ্রেফতারের সমালোচনা করায় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা। ইমরানকে বয়কটেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জয় তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন,‘ আমি আশাই করেছিলাম বিএনপি এটা নিয়ে মিথ্যা বলার চেষ্টা করবে। যদিও, আমি আশ্চর্য হয়েছি ইমরান সরকারের বিষয়ে। সম্ভবত শেষ পর্যন্ত তার আসল চেহারাটা উন্মোচিত হলো। এটা দেখে মনে হচ্ছে সে আমাদের বেশিরভাগ সুশীলের মতই, আরেকটা সুবিধাবাদী এবং মিথ্যাবাদী। হয়তো বিএনপি তাকে পয়সা দিয়েছে। কে জানে। যেভাবেই হোক, আমি তার প্রতি সব শ্রদ্ধা হারিয়েছি।’

‘তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে আমাদের সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আমি আমার সকল বন্ধু এবং ভক্তদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা তাকে অনুসরণ করেন তারা তাকে ফেসবুক থেকে আনফলো/আনফ্রেন্ড করুন। সে একজন অপরাধীর হয়ে কথা বলছে যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো’।

প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে শুক্রবার দিবাগত রাতে ইস্কাটন গার্ডেন রোডের বাসা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের পর গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান তার ফেসবুক পেইজে লেখেন, ‘প্রবীণ (৮১ বছর বয়সী) সাংবাদিক শফিক রেহমানের গ্রেফতার ও রিমান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শফিক রেহমানের রাজনৈতিক আদর্শের সাথে আমি একমত নই। ভিন্নমতের হলেই তাকে দমন করার যে নোংরা রাজনৈতিক অপকৌশল, এর একটা অবসান চাই।’

‘দেশে যখন একের পর এক মানুষ খুন হচ্ছে, লেখক-প্রকাশক-বিদেশী থেকে শুরু করে মসজিদ-মন্দিরে ঢুকে মুয়াজ্জিন-পুরোহিতকে হত্যা করা হচ্ছে তখন খুনীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অপহরণের বায়বীয় অভিযোগে এমন একজন প্রবীণ সাংবাদিককে গ্রেফতার সত্যিই হতাশাজনক।আমি প্রত্যাশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং প্রতিপক্ষকে দমনের চেয়ে দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হবে’।

 

পাঠকের মতামত: